৮৮’তে বিএ পাস এবং সৌদি থেকে ফেরত এসে, এখন পেশায় ছিনতাইকারী!

দিন দিন বাড়ছে জনসংখ্যা, আর সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের চাহিদাও। কিন্তু সেই চাহিদা অনুযায়ী মানুষ যেমন কাজও পাচ্ছে না তেমনি টাকাও উপার্জন করছে না আর তখনই মাথায় আসে খারাপ চিন্তা। আর সেই চাহিদা মেটাতেই ঘটে যত বিপত্তি।
রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা ও উত্তোলন করতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা ছিনতাইকারী চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, ১৬ রাউন্ড গুলি ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিবুজ্জামান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাগর বারুই (৩৫), মো. রুবেল (৩৫), মো. বাবুল (৩৬), মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫), স্বপন মাহমুদ (৪৯), মো. ইউসুফ আলী (২৮), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮)।

র‍্যাবের এ কমান্ডার রাকিবুজ্জামান জানান, গ্রেফতার হওয়া সকলেই বিভিন্ন পেশার আড়ালে ডাকাতি ও ছিনতাই করত। আর্থিক স্বচ্ছলতা আনার জন্য তারা এই পেশায় এসেছে। এর মধ্যে সাগর পেশায় একজন মহুরি, মো. রুবেল দর্জির কাজ করেন।

এছাড়া মো. বাবুল ওরফে বাবু চাঁদনি মার্কেটে একটি দোকানে সেলসম্যানের কাজ করতেন। ইউসুফ আলী এবং মো. আনোয়ার হোসেন গার্মেন্টেসে কাজ করতেন।

স্বপন মাহমুদ সম্পর্কে র‍্যাবের এ কমান্ডার বলেন, বরিশালের সরকারী চাখার এ কে ফজলুল হক কলেজ থেকে ১৯৮৮ সালে বিএ পাস করেছেন স্বপন মাহমুদ (৪৯)। সেই বছরই জীবিকার সন্ধানে রাজধানীতে চলে এসে যোগ দেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে।

এরপর ১৯৯২ সালে চাকরি ছেড়ে চলে যান সৌদি আরব। চার মাস পর ফিরে আসেন দেশে। পরে জড়িয়ে পড়েন ডাকাতি ও ছিনতাই পেশায়। ২০১৬ সালে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগার থেকে বেরিয়ে ফের ছিনতাই চক্রের টার্গেট সংগ্রহকারী এবং জমির দালালি শুরু করেন।

তিনি আরও জানান, গত ১৩ মে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তায় দুই বিকাশ কর্মীকে গুলি করে ১৫ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এই চক্রটি জড়িত ছিল। সে দিন দুই বিকাশ কর্মী টাকা নিয়ে ইউসিবি ব্যাংকে জমা দিতে গেলে উনিশে টাওয়ারের কাছ থেকে বিকাশ কর্মীর বুকে ও পায়ে গুলি করে টাকা ছিনতাই করে চক্রটি। ছিনতাইকারীরা একে অপরের সঙ্গে কারাগারেই সংগঠিত হয়েছিল। এরপর জামিনে মুক্তি পেয়ে সংঘবদ্ধভাবে ছিনতাইয়ে নামে তারা।